এবার কুরবানি ঈদের জন্য মোট গবাদিপশু মজুত ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি।
এরমধ্যে সারা দেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে।বিক্রি হয়নি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু।
সোমবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে।এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কুরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর কুরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কুরবানি হয়েছে।অবিক্রিত ছিল ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি পশু।আর ২০২২ সালে সারা দেশে কুরবানি হয়েছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু।
এত পশু অবিক্রিত থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা।তবে ব্যাপারীদের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি খামারিরা।যে খামারিরা বড় গরু বাজারে এনেছিলেন, তার অধিকাংশই অবিক্রিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।কারণ, চড়া দামের খাবার খাইয়ে ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন তাদের অনেকের অবস্থা করুণ।
জানা গেছে, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। সেই তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিলেন খুবই কম।আর তাছাড়া বড় গরুর দামও ছিল চড়া।