২৮ জুন ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে প্রার্থী হতে ৮০ জন আবেদন করেছিলেন৷ এর মধ্যে ছয়জনের আবেদন অনুমোদন করেছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল৷
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর কারণে দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷
অনুমোদন পাওয়া ছয় প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন কট্টরপন্থি বলে বিবেচিত৷ অন্যজন সংস্কারপন্থি৷
চার নারী প্রেসিডেন্ট হতে আবেদন করেছিলেন৷ তবে কারও আবেদন অনুমোদন করা হয়নি৷ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিদ্রোহের পর থেকে এমনটা হয়ে আসছে৷
সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে৷ ২০১৭ ও ২০২১ সালেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি৷ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন আহমেদিনেজাদ৷
সংসদের সাবেক স্পিকার মধ্যপন্থি নেতা আলি লারিজানি ও রেভ্যুলুশনারি গার্ডসের সাবেক কমান্ডার ভাহিদ হাঘানিয়ানের প্রার্থিতাও অনুমোদন পায়নি৷
২০০৫ ও ২০১৩ সালেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন৷
সংস্কারপন্থি একমাত্র প্রার্থী হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান৷ তিনি তাবরিজ আসনের সাংসদ৷
বাকি চার প্রার্থী হলেন সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাইদ জলিল,ফাইন্ডেশন অফ মার্টায়ার্স অ্যান্ড ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্সের অতিরক্ষণশীল চেয়ারম্যান আমির-হোসেইন ঘাজিজাদেহ হাশেমি, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রী ইসলামি পণ্ডিত মোস্তফা পুরমোহাম্মদি এবং তেহরানের বর্তমান মেয়র আলিরেজা জাকানি৷
গার্ডিয়ান কাউন্সিল কী
১২ জন ইসলামি পণ্ডিত ও বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত হয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এর কাজ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা৷
গার্ডিয়ান কাউন্সিলের ১২ জনের মধ্যে ছয়জনকে নির্বাচন করে সংসদ৷ বাকি ছয়জনকে নিয়োগ দেন সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই৷ ফলে ইরানে চালু থাকা ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা প্রার্থীদের মধ্য থেকেই একজনকে বেছে নিতে হয় ভোটারদের৷
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গার্ডিয়ান কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় অতীতে এই কাউন্সিলকে অগণতান্ত্রিক বলে সমালোচনা করা হয়েছে৷
সোর্সঃডিডব্লিউ