যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের “আগ্রাসনের যুদ্ধ সম্প্রসারণের জন্য কোনও পরিসর” তারা যেন না দেয়।
পুতিনের সম্ভাব্য পিয়ংইয়ং সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্র এই সতর্কতা জারি করেছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সেপ্টেম্বরে যখন রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন তখন পিয়ংইয়ং-এ আসতে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস ৩০ মে জানায়, রুশ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট কোনও তারিখ উল্লেখ না করে বলেছে, পুতিনের সফরের প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ সংস্থা তাস উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেনকোকে উদ্ধৃত করে বলেছে, উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামে পুতিনের সফরের জন্য প্রস্তুতি “অনেক এগিয়ে গেছে।”
রুশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে , পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোন উত্তর মেলেনি।
এমন একটা ধারণা ছিল যে, মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাতের পর পুতিন উত্তর কোরিয়া সফরে যাবেন।
পিয়ংইয়ং-এ পুতিনের সফর সম্পর্কে রুদেঙ্কোর মন্তব্যের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মঙ্গলবার ই-মেইল এর মাধ্যমে জানিয়েছেন, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ ও নৃশংস যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়া ক্রমাগত আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইছে।
তাই আমরা পুনরায় বলছি, রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধের সম্প্রসারণের জন্য পুতিনকে কোনও ম্থান দেওয়া উচিত নয় কোনও দেশের। অন্যথায় তার নৃশংসতাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে হবে।”
ওই মুখপাত্র উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়াকে সংক্ষেপে ডিপিআরকে বলে উল্লেখ করে বলেন, “কোরীয় উপদ্বীপে যারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী তাদের কাছে রাশিয়া ও ডিপিআরকে-র মধ্যে গভীরতর সহযোগিতার সম্পর্ক ভীষণ উদ্বেগের।”
তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে রুশ ফেডারেশনকে নানা উপকরণ দিয়ে সাহায্য করেছে ও করছে ডিপিআরকে।”
কিম জং উনের ক্ষমতাশালী বোন কিম ইয়ো জং ১৭ মে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র লেনদেনে যুক্ত।
এদিকে, ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে। এ থেকে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে ২৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।
সোর্সঃরয়টার্স