তাপপ্রবাহের কারনে অনেকেই এসি ব্যবহার করে। অনেকেই নতুন এসি কিনেছেন। আবার অনেকের বাড়িতে আগে থেকেই এসি আছে। কিন্তু খেয়াল করেছেন কি? আমরা বাড়িতে যে এসি ব্যবহার করি তার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৬ এবং সর্বোচ্চ কেন ৩০ রাখা হয়?
সারা বিশ্বে এসির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এর কারণ কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক। আপনি নিশ্চয়ই এসির রিমোটে লক্ষ্য করেছেন, তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে যায় না।
কখনো ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়? আপনি যে কোনো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পারেন, তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কম হবে না। এখন অনেক ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১৮ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর দুটি প্রধান কারণ রয়েছে।
প্রথমত এর থেকে কম এসির তাপমাত্রা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। সব এয়ার কন্ডিশনারে একটি ইভাপোরেটর থাকে। এই ইভাপোরেটর কুল্যান্টের সাহায্যে ঠান্ডা হয় এবং এটি আপনার ঘরকেও ঠান্ডা করে।
এমন অবস্থায় এসির তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কম হলে ইভাপোরেচরে বরফ জমতে শুরু করবে। যে এসি আপনার ঘর ঠান্ডা করছে সেটি নিজেই ঠান্ডা হয়ে যাবে। এতে আপনার এসি খারাপ হতে পারে। এই কারণে যে কোনো এসির তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কম করা যায় না।
অন্যদিকে যখন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে তখন আবহাওয়া শীতল থাকে। কিন্তু যখন তাপমাত্রা ৩০ এর উপরে চলে যায়, তখন আপনি গরম অনুভব করতে শুরু করেন।
যদি এসির তাপমাত্রা ৩০ এর উপরে চলে যায়, তা হলে আর সেটি চালানোর কোনো মানে নেই। কারণ তখন ঠান্ডা বাতাসের পরিবর্তে গরম বাতাস বইতে শুরু করবে। এয়ার কন্ডিশনারের কাজই হলো বাতাস ঠান্ডা করা।