চীনের সামরিক মুখপাত্র লি সি জানিয়েছেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। তাই কঠোর শাস্তি হিসেবে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তাও দেয়া হচ্ছে।
তাইওয়ানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং গত সোমবার শপথ নেন। তারপরই তিনি বলেছিলেন, চীন যেন সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি দেখানো বন্ধ করে। তারপরেই চীন এভাবে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনের ১২টি যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। চীনের বিমান আকাশে চক্কর কাটছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের ভয়ংকর পরিণতি হবে। চীনের বার্তাসংস্থা শিনহুয়া ও সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলিতে এই মহড়ার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, লাই বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ করছেন।
তাইওয়ান এই মহড়ার তীব্র নিন্দা করেছে। তারা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লাই জানিয়েছেন, তাইওয়ানকে রক্ষার দরকার হলে তিনি প্রথম সারিতে গিয়ে দাঁড়াবেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভাষণে লাই বলেছিলেন। তিনি চীনকে সামরিক শক্তি দেখানো বন্ধ করতে বলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাইওয়ানের উপর চাপ দিতে চীন তাদের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সব পক্ষই যেন সংযত থাকে।
সোর্স:এফপি, রয়টার্স