কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজীম খুন

এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। এটা মার্ডার খুন হয়েছে। এর নেপথ্যের বিষয় আপনাদের জানাবো” তিনি আরও বলেন “তদন্ত চলছে, যারা যারা এ খুনের সাথে জড়িত সবার বিষয়ে জানতে পারবো। ভারতের পুলিশও সহযোগিতা করছে। আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। তদন্ত শেষ হলে এ খুনের মোটিভ কী, সবকিছু বিস্তারিত দিতে পারবো আমরা”।

এদিকে, কলকাতা সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, “যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম সঞ্জীব রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এক্সাইজ (শুল্ক) দপ্তরের কর্মকর্তা।” আইজি বলেন “আখতারুজ্জামান নামে একজন মার্কিন নাগরিককে সঞ্জীব রায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ভিকটিম বা অভিযুক্তদের কী সম্পর্ক কলকাতা পুলিশ এখনও সেটি খুঁজছে।”

এছাড়া ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে এমপি আজীমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে , সেখানে পুলিশ কোনো লাশ খুঁজে পায়নি। কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।তিনি বলেছেন, পারিবারিক, ব্যবসায়িক নাকি আর্থিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হবে। ভারতীয় পুলিশের সাথে প্রতি মুহূর্তেই কথা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সে সব বিষয় বলতে চাচ্ছি না।সংসদ ভবন এলাকা থেকে এমপি আজীম ভারতের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এজন্য শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করার পরই ডিবি তদন্ত শুরু করবে।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট ইউনিটের কর্মকর্তারা তদন্তে নেমে তারা প্রথমে তদন্তে নেমে তারা প্রথমে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে বহনকারী ক্যাবচালককে আটক করেন।সেই ক্যাবচালক তাদের জানিয়েছেন, মি. আজীমকে তার গাড়িতে তোলার পর আরও তিনজন গাড়িতে ওঠেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। পুলিশ স্টেশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা  নিশ্চিত করেছেন, সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ।তিনি জানিয়েছেন, সেখানে রক্তের দাগ ও অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। ১৩ই মে ওই এমপির সাথে তিনজন সেখানে ঢুকেছে।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা একেকজন পৃথক পৃথকভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছে। ১৫ই মে একজন, ১৬ই মে আরেকজন এবং ১৭ই মে আরেকজন বের হয়েছেন সেখান থেকে। তিন জনের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *