বাংলাদেশকে জানিয়েই ফারাক্কার জল ছাড়া হয়েছে দাবী ভারতের

এবার ফারাক্কা থেকে জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, প্রতি বছর বর্যায় জল ছাড়া হয়। ঢাকাকে জানিয়েই জল ছাড়ার দাবি। কিছু ভুয়া ভিডিও নিয়ে উদ্বেগ ভারতের।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ অগাস্ট ফারাক্কা থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ফারাক্কায় ১০৯টি গেট‌ই খুলে দেয়া হয়েছে। কোনো গেট তিন বা চার ফুট, কোনো গেট ১০ বা ১২ ফুট খুলে দেয়া হয়েছে। ফারাক্কা থেকে বাংলাদেশে যে জল আসে, তা চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্ট দিয়ে পদ্মায় প্রবেশ করে। সেখানে সোমবার জলের স্তর ২০ দশমিক পাঁচ মিটার ছিল। বিপদসীমা হলো ২২ দশমিক পাঁচ মিটার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ”ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট আমরা দেখেছি। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই গেট খোলার মাধ্যমে ১১ লাখ কিউসেক জল নিচের দিকে গঙ্গা ও পদ্মায় গিয়ে মিশেছে।”

জয়সওয়াল বলেছেন, ”বর্ষার সময়ে জল ছাড়ার ঘটনা স্বাভাবিক। গঙ্গার উপরিভাগের এলাকায় বেশি বৃষ্টি হলে ফরাক্কায় জল বেড়ে যায়।”তিনি আরও বলেন যে ”এটা বুঝতে হবে, ফারাক্কা কোনো ড্যাম নয়, এটা ব্যারাজ মাত্র। যখন জলের স্তর একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় চলে যায়, তখন বাড়তি যে জল আসে সেটা বের হয়ে যায়। এটা একটা কাঠামো, যা ফারাক্কা ক্যানালে ৪০ হাজার কিউসেক জলের ধারা বজায় রাখে।  এটা খুবই সতর্কতার সঙ্গে করা হয়েছে। ৪০ হাজার কিউসেকের অতিরিক্ত জল যাতে বাংলাদেশে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

রণধীর জানিয়েছেন, ”প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সব তথ্য দেয়া হয়। ঠিক সময়ে ও নিয়মিত তথ্য দেয়া হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি।তিনি বলেছেন, ”অনেক ভুয়া ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে।  ভুল বোঝাবুঝি যাতে হয়, তার জন্য অনেক রটনা, ভয় দেখানোর বিষয়ও সামনে এসেছে। প্রকৃত তথ্য দিয়ে তার মোকাবিলা করা দরকার।”

সোর্সঃ ডিডব্লিউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *