যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন কমলা হ্যারিস। প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই দিচ্ছেন নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি। এবার অর্থনীতিতেও বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কমলা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে কী কী সুবিধা জনগণকে দেবেন সে বিষয়ে একটি আংশিক রূপরেখা প্রদান করেছেন। শুক্রবার উত্তর ক্যারোলিনার একটি সমাবেশে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যেখানে বেশিরভাগ আমেরিকানদের জন্য কর কমানো, দোকানদারদের দ্বারা মূল্যবৃদ্ধি নিষিদ্ধ ও আরও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরির কথা বলেছেন কমলা।
ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসাবে কমলা প্রথমবার অর্থনীতিকেন্দ্রিক বক্তৃতায় শিশুসহ পরিবারের জন্য ছয় হাজার ডলারের একটি নতুন চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিশু আছেন এমন পরিবারের জন্য ট্যাক্স কমানোর পাশাপাশি ওষুধের দাম কমানোরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করা কমলা চার বছরের মধ্যে ৩০ লাখ নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণ ও প্রথমবারের ক্রেতাদের জন্য বাড়ি তৈরিকারীদের জন্য একটি ট্যাক্স প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কমলা উত্তর ক্যারোলিনার এই সমাবেশে সমর্থকদের বলেছেন, মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে। কিন্তু দাম এখনো অনেক বেশি। প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি মধ্যবিত্তের দিকে নজর দেবেন বলেও উল্লেখ করেছেন। কমলা বলেছেন, সবাইকে নিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক অর্থনীতি গড়ে তুলব।
মধ্যবিত্তকে গড়ে তোলা আমার অন্যতম লক্ষ্য থাকবে, কারণ তারা যখন ভালো থাকে তখন মার্কিন অর্থনীতিও শক্তিশালী থাকে। কমলা আগামী সপ্তাহগুলোতে তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত প্রকাশ করবেন। মূলত এক্ষেত্রে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পার্থক্য তৈরি করতে চান। এই বক্তৃতায় নিজের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির সমালোচনাও করেছেন তিনি। এ সময় কমালা হ্যারিস বলেছেন, তিনি দৈনন্দিন পণ্য এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর ওপর জাতীয় বিক্রয় কর আরোপ করতে চান, যা আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করি। এটি আমেরিকানদের ধ্বংস করবে।
ট্রাম্প এই সপ্তাহে অর্থনীতি এবং তার নীতিগুলিকে কেন্দ্র করে দুটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তবে তিনি এখনো একটি বিশদ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। তিনি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির জন্য বারবার বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে অবিলম্বে দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।