ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল

ইসরায়েলি বাহিনী রাফা ও গাজা ভূখণ্ডের অন্যান্য এলাকায় হামলা চালিয়েছে এবং হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সাথে ব্যাপক লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মে মাসের শুরু থেকে ইসরায়েলি হামলার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা ছিটমহলের দক্ষিণ প্রান্তের শহর রাফা দখলের চেষ্টা করছে ইসরায়েলিরা।

ট্যাংকগুলো শহরের পশ্চিম ও উত্তর অংশে ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যেই তা পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী উপকূল থেকে বিমান, ট্যাংক এবং জাহাজ থেকে গুলি চালায়। এতে শহরের মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রাফায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই আবার সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানায়, শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা রাফা এলাকায় “সুনির্দিষ্ট, গোয়েন্দাভিত্তিক” অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে সৈন্যরা ক্লোজ-কোয়ার্টার লড়াইয়ে জড়িত এবং জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত টানেলগুলো সনাক্ত করেছে। গাজার অন্যত্রও তাদের কর্মকাণ্ডের কথা জানানো হয়েছে।

রাফার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত দুই দিনে ইসরায়েলের অভিযানের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তারা জানায়, বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ প্রচণ্ড লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনি ও জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শহরের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলে হয়তো এক লাখের কম মানুষ আছে। মে মাসের গোড়ার দিকে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার আগে গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।

হামাস ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল সামরিক বাহিনী। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

সোর্সঃভিওএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *