গত বছর ৭ অক্টোবরে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলা চলাকালে অপহৃত চারজন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জিম্মিদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, নোয়া আরগামানি (২৫), আলমগ মেইর জান (২১), আন্দ্রে কোজলভ (২৭) ও শ্লোমি জিভ-কে (৪০) এই চারজনকে তারা উদ্ধার করেছে। নুসেইরাতে দিনের বেলা এক জটিল ও বিশেষ অভিযান চালিয়ে এদের উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আরও বলেছে, নুসেইরাতের কেন্দ্রস্থলে দুটি জায়গা থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়।
গত বছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর সময় হামাস প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দি করেছিল এবং এর ফলেই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়।
নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে প্রায় অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, ১৩০ জনের বেশি জিম্মি এখনও হামাসের কবলে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের এক-চতুর্থাংশ মারা গেছে। জিম্মিদের নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনা নিয়ে ইসরায়েলে মতবিরোধ ও বিভাজন গভীরতর হচ্ছে।
গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্তপাত কমাতে ইসরায়েলের উপর যখন আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন জিম্মিদের উদ্ধার করা হলো। প্রসঙ্গত, ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ শুক্রবার আট মাসে পা দিলো।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতভাবে স্থগিত যুদ্ধবিরতির সমঝোতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে আসবেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের আক্রমণে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিসংখ্যানে নিহত বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধাদের সংখ্যাকে আলাদা করা হয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জীবিত জিম্মিদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে শনিবারের অভিযানই সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা। এ পর্যন্ত মোট সাতজন জিম্মিকে উদ্ধার করা হলো।
শনিবার উদ্ধারকৃতদের একজন হলেন আরগামানি। জিম্মিদের মধ্যে তিনি সর্বাধিক পরিচিত মুখ। সঙ্গীতের এক উৎসব থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
অপহরণের যে ভিডিওগুলি প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল তার মধ্যে আরগামানির ভিডিও অন্যতম। তার ভয়ার্ত মুখের ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছিলেন অনেকে।
সোর্সঃভিওএ