সালমান-ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদের প্রভাব ভানসালীর উপর

ঐশ্বর্যর মনে হয়েছিল আমি ওর যথেষ্ট ভাল বন্ধু নই। অভিমানের সুর ভানসালীর কণ্ঠে।

সালমন-ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। ‘হাম দিল দে চুকে সানম’-এর সেটে শুটিংয়ের পাশাপাশি চুটিয়ে প্রেম করতেন এই জুটি। দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভানসালী। ২০০১ সালে সালমন-ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদের পরে আতান্তরে পড়েন তাঁদের পরিচালক-বন্ধু। কার পক্ষ নেবেন, কার সঙ্গে বন্ধুত্ব জারি রাখবেন, তা নিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েন তিনি। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এই জুটির সঙ্গে যাঁদের বন্ধুত্ব ছিল, বিচ্ছেদের পরে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবেন তা নিয়ে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। যদিও অধিকাংশই বন্ধু সালমানের পক্ষ বেছে নেন। বাদ যাননি সঞ্জয় লীলা ভানসালী ও। ঐশ্বর্য একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এর ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

প্রায় দেড় বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল ঐশ্বর্য-ভানসালীর। পরিচালক বললেন, “ঐশ্বর্যর মনে হয়েছিল আমি ওর যথেষ্ট ভাল বন্ধু নই। ও তখন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওর মনে হয়, ওকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মতোও বন্ধু আমি নই। তবে আমি সব সময় চেয়েছিলাম ঐশ্বর্য হাসপাতাল থেকে দ্রুত বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিক।” ভান্সালীও মনে করেন, বন্ধুত্বে আঘাত পেলে বন্ধুর কাছে তা প্রকাশ করে দেওয়া উচিত।

অন্য দিকে, ঐশ্বর্য একদা দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাও ভান্সালী তাঁকে দেখতে যাননি। হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস গুরুতর অসুস্থ থাকার সময় পরিচালক বন্ধুর অনুপস্থিতি গভীর আঘাত দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। পরবর্তীকালে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক।

সুত্রঃ আনন্দ বাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *