সহজ একটি ম্যাচ কঠিন করে তোলা, অবশেষে সুপার ওভার। তবে শেষ হাসি হেসেছে নামিবিয়াই। সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে সুপার ওভারে ওমানকে ১১ রানে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেন নামিবিয়া।
শুরুতে ব্যাট করে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। পুরো ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানেই থামে নামিবিয়ার ইনিংসও। পরে সুপার ওভারে জয় নিশ্চিত করে দলটি।
এর আগে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নামিবিয়া। প্রথম দুই বলেই উইকেট পান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। তার লেট সুইং করা ফুল লেন্থের বল গিয়ে লাগে কেশপ প্রজাপতির পায়ে। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। ঠিক তার পরের বলে আকিব ইলিয়াসও আউট হন অনেকটা একই রকম ডেলেভারিতে।
চতুর্থ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু খালিদ কাইল ও জিশান মাকসুদের ২৭ রানের জুটির পর আবার উইকেট তুলে নেয় নামিবিয়া। এ সময় ২২ রান করে জিশানকে সাজঘরে ফেরান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। আয়ান খান তখন খালিদকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২১ বলে ১৫ রান করে জেরহার্ড এরাসমাসের বলে ফ্রাইলিঙ্ককে ক্যাচ দেন তিনি।
মোহাম্মদ নাদিম ১০ বলে করেন মাত্র ৬ রান। এরপর দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা খালিদ ক্যাচ দেন বোলার ডেভিড ভিসেকে। ৩৯ বলের ইনিংসে ১টি করে চার ও ছয় হাঁকান ওমান ব্যাটার। মূলত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেয় তাদের। তবুও ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি। শাকিল আহমেদ ১১ ও মেহরান খান করেন ৭ রান।
নামিবিয়ার হয়ে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ট্রাম্পেলম্যান। ৩ উইকেট নিতে ভিসে খরচ করেন ২৮ রান। এরাসমাস ২টি ও বার্নার্দ স্কুলজ নেন ১ উইকেট।
বোলিংয়ে নেমেই প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান ওমানের বোলার বিলাল খান। নিকোলাস ডাভিন আর ইয়ান ফ্রাইলিংক অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন একপেশে ম্যাচের। ধীরগতির ব্যাটিং করলেও রানরেট রেখেছিলেন নাগালের মাঝে। ৪২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ডাভিন। এরপর অধিনায়ক ইরাসমাসকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন ফ্রাইলিঙ্ক।
বিপর্যয়ের শুরু এরাসমাসের উইকেট দিয়ে। পুরো ম্যাচে ৩ ক্যাচ ছেড়ে ওমান যখন হতাশ, তখনই উইকেটের দেখা পান আয়ান খান। জিশান মাকসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নামিবিয়া অধিনায়ক। এরাসামাস-ফ্রাইলিং জুটি ছিল ধীরগতির। সেটা পরে আরও ধীর হয়ে আসে। একের পর এক ডটবল চাপ বাড়াতে থাকে নামিবিয়া ইনিংসে।
শেষ ওভারের আগের ওভারে বিলাল খানের বলে ছয়টা আরও হতাশ করেছিল ওমানকে। মেহরান খান তবু শেষ ওভারে শুরুটা করেছিলেন দারুণ। প্রথম তিন বলের মাঝেই তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ব্যাটার ডেভিড উইসা নামিবিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অভিজ্ঞও তিনি। শেষ বলে ব্যাটে বলে করা হয়নি। ১ রান নিয়েই থামলেন। ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
আর সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতার চমক দেখান উইসা। ব্যাট হাতে ১৩ রান। আর বল হাতে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০ রান দিয়ে নামিবিয়াকে এনে দিলেন মনে রাখার মতো অবিশ্বরনীয় এক জয়।