সরকার চলমান লোডশেডিং কমাতে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে। যার প্রতি ইউনিটে খরচ পরবে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মঙ্গলবার নেপাল থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ কেনার এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ১৭ পয়সা ‘নেগোশিয়েটেড’ প্রাইসে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর আনুমানিক ১৩০ কোটি টাকা হিসাবে এই বিদ্যুৎ কিনতে পাঁচ বছরে খরচ হবে ৬৫০ কোটি টাকা। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে।
আরও ছয় বছর আগে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে দুই দেশ। নেপালের ওই জলবিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিড লাইন ব্যবহার করে আনতে হবে বলে এ বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছিল এতদিন।
গত ৭ ডিসেম্বর নেপাল থেকে সরাসারি ক্রয় পদ্ধতিতে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন পায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। এবার অনুমোদন দিল সরকারি ক্রয় কমিটি।
সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, এখন নেপাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি, ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগাম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করবে। কারণ বিদ্যুৎটা নেপালের, ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ভারতের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করতে হবে।
তিনি জানান, প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের জন্য ভারতের ‘ট্রেডিং মার্জিন’ হবে ০.০৫৯৫ রুপি।
প্রতি ইউনিট এনার্জি মূল্য ৬.৪০ ইউএস সেন্ট। ট্রান্সমিশন চার্জটা এখনও ফাইনাল হয়নি। ভারতের যে রেগুলেশন আছে সে অনুযায়ী হবে।