লিচু সবাই কম বেশি খেতে পছন্দ করে। কিন্তু লিচু কিনে অনেকেই বিরম্ভনার শিকার হন। কিছু কৌশল আছে, যার মাধ্যমে আপনি পাকা ও মিষ্টি লিচু চিনে কিনতে পারবেন। বিভিন্ন জাতের ও রংভেদে লিচু ভিন্ন হয়ে থাকে। লাল, কমলা বা হালকা বাদামি রঙেরও লিচু পাওয়া যায়। এরমধ্যে লাল রঙের লিচু সবাইকে একটু বেশিই আকৃষ্ট করে। তাই লিচু কেনার সময় অবশ্যই এর খোসার দিকে লক্ষ্য রাখুন। ভালো লিচু সবসময় উজ্জ্বল রঙের হয়। লিচু যদি বেশি নরম হয় তাহলে তা কিনবেন না। কারণ সেগুলো হয়তো বেশি পাকা। এমন লিচুর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে থাকে। পাকা লিচুর গন্ধ মিষ্টি হয়। নাকের কাছে ধরলেই ওই মিষ্টি গন্ধ টের পাওয়া যায়। কেমিক্যালযুক্ত লিচু নাকে নিলে মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায় না।অনেক সময় ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে লিচুর গায়ে লাল রং যোগ করা হয়। তাই লিচু কেনার পর বাসায় গিয়ে ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর তার থেকে রং বের হলেই বুঝতে পারবেন সেটি কাঁচা লিচু।সব সময় গাঢ় রঙের লিচু কিনবেন ও এর সাইজ যেন এক ইঞ্চি হয়। এমন লিচু পরিপক্ব হয়। নষ্ট বা পচা লিচুর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, এর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত থাকে। ফাটল ধরা বা পচা গন্ধযুক্ত লিচু ভুলেও কিনবেন না।লিচু ভালো কিনা তা পরীক্ষা করতে এর খোসা ছাড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে যায়; তাহলেই সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় কিংবা লিচুর ভেতরের অংশে বাদামি দাগ থাকে তাহলে বুঝবেন সেটি নষ্ট হতে পারে।লিচুর মুখ পচা থাকলে তা কিনবেন না। এমন লিচুর ভেতরেও নষ্ট থাকে। তাই ডালযুক্ত লিচু কিনুন। লিচু খুব দ্রুত পেকে যায়। তাই পাকার আগেই লিচু সংরক্ষণ করা হয়। যদি আধাপাকা লিচুও কিনে আনেন, তাহলে ফ্রিজে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে ২-৩ দিনের মধ্যেই লিচু পেকে যাবে।ভুলেও কখনো লিচুর বীজ খাবেন না। এতে থাকে বিষাক্ত উপাদান। এই বীজ খেয়ে ফেললে পেটে নানা সমস্যা হতে পারে।