রবিবার মধ্যপ্রাচ্য যাবেন ব্লিংকেন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরাইল ও হামাস জঙ্গিদের অস্ত্র বিরতি প্রস্তাবে রাজি করানোর আশায় রবিবার আবার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওয়ানা হচ্ছেন। 

ঐ অস্ত্রবিরতির লক্ষ্য হচ্ছে লড়াই থামানো, পণবন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পাঠানো।

শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কুটনীতক হামাসের তরফ থেকে সরাসরি এই অস্ত্র বিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেবেন।

 এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর ভাষণে এই অস্ত্রবিরতির রূপরেখা তুলে ধরেন যা কীনা গত মাসে হামাসের মেনে নেয়া প্রস্তাবের প্রায় কাছাকাছি। ব্লিংকেনের এই তিন দিনের সফরে তিনি মিশর, ইসরায়েল, জর্দান ও কাতারে থামবেন।

ব্লিংকেনের সফরটি ঐ অঞ্চলে এমন এক সময় হয় যখন ইসরায়েল পুরোদমে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছিল। রাতের বেলায় এবং পরের দিন, শুক্রবারেও ইসরায়েলের ট্যাংক ও যুদ্ধ জাহাজগুলি গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আক্রমণ চালায়। 

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানায় এতে অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ফিলিস্তিনের জরুরি পরিষেবা কর্মীরা বলেন জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান আক্রমণে তিন জন নিহত হন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে যে তাদের লক্ষ্য ছিল স্কুলের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কয়েকজন হামাস বন্দুকধারী।

ইসরায়েল বৃহস্পতিবারও একই ধরণের ব্যাখ্যা দেয় যখন জাতিসংঘের শরণার্থি সংস্থা, ইউএনআরব্লিউএ পরিচালিত গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলের উপর তারা বিমান আক্রমণ চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলছে ঐ হামলায় ৪০ জন প্রাণ হারান।

ইউএনআরব্লিউএ’র কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন যে হামাস সেই স্কুল থেকে তত্পরতা চালাচ্ছিল ইসরাইলের এই দাবি তাঁকে বিস্মিত করেছে এবং এটি তিনি নিশ্চিত নন।

শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলেছে নুসেইরাত শিবিরের স্কুলটিতে বিমান হামলায় এটাই বোঝা যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মান্য করতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার জাতিসংঘ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় যখন জাতিসংঘের দূত গিলাড ইরদান বলেন যে তাঁকে জানানো হয়েছে যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে সেই অপরাধীদের আন্তর্জাতিকক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছেন যারা শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু এক্স ‘এর একটি পোস্টে তার উস্মা প্রকাশ করে লিখেছেন, “ আজ জাতিসংঘ নিজেকেই ইতিহাসের কালো তালিকায় যুক্ত করেছে যারা হামাস ঘাতকদের সমর্থন করে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হচ্ছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি নৈতিক বোধ সম্পন্ন সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের কোন ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত তা পরিবর্তন করবে না”।

সোর্সঃভিওএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *