যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে পাঁচ লাখ অভিবাসী

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনিভাবে অবস্থানরত লক্ষ লক্ষ অভিবাসীকে স্বস্তি দিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। 

এই বছরের শুরুতে সীমান্তে তার আগ্রাসী ভূমিকা অনেক আইনপ্রণেতা এবং আইনজীবীদের ক্ষুদ্ধ করে তুলে। আসন্ন নির্বাচনের আগে তাই কিছুটা ভারসাম্য আনার লক্ষেই তার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, বাইডেন প্রশাসন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের যাদের স্বামী বা স্ত্রীর আইনি মর্যাদা নেই এমন কিছুসংখ্যক মানুষের স্থায়ীভাবে বসবাস এবং পরবর্তীতে নাগরিকত্বের আবেদন করার অনুমতি দেবে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, এই পদক্ষেপ অর্ধ মিলিয়ন অভিবাসী প্রত্যাশীর জন্য কার্যকর হতে পারে।

নতুন এই পদক্ষেপে, একজন অভিবাসীকে এই সোমবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে, এ দেশে বসবাস করতে হবে এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হতে হবে। 

এই যোগ্যতার ভিত্তিতে অভিবাসীর আবেদন অনুমোদিত হলে, তিনি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য তিন বছর সময় এবং একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। তাছাড়া এর মধ্যে তিনি নির্বাসন থেকে রেহাইও পাবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একজন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ বাবা-মায়ের প্রায় ৫০ হাজার অনাগরিক শিশুও একইভাবে নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হবে। তবে তার জন্য তাদের বিবাহিত থাকার সময় গুরুত্বপূর্ন না। তবে ২০২৪ সালের ১৭ জুনের পর যে কোনো সময় ১০ বছর পূর্তিতে পৌঁছানো অভিবাসীরা এই কর্মসূচির জন্য যোগ্য হবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আশা করছেন গ্রীষ্মের শেষের দিকে প্রক্রিয়াটি আবেদনের জন্য উন্মুক্ত হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস প্রোগ্রামের ১২তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বাইডেন তার পরিকল্পনার কথা বলবেন। ওবামার সময়ে তরুণ অভিবাসীদের জন্য নির্বাসন সুরক্ষা এবং অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটের প্রস্তাব দিয়ে জনপ্রিয় হয় এটি। বাইডেন এখানে নির্দিষ্ট ডিএসিএ সুবিধাভোগী এবং অন্যান্য তরুণ অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাজের ভিসার জন্য আরও সহজেই যোগ্যতা অর্জনের অনুমতি দেবার জন্য নতুন নিয়মাবলী ঘোষনা করবেন।

সোর্সঃভিওএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *