মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
বিসিএসে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, বুঝতে পারবেন নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন না বরং এগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ৩৫তম বিসিএসে নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে নারী ২৮ জনের মতো। ৩৬তম বিসিএসে আমরা দেখেছি নারী কর্মকর্তা ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৭তম বিসিএসে দেখেছি ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩৮তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪০তম বিসিএসে দেখেছি নারীদের হার ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। সবশেষ ৪১তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ নারী প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পদায়নের জন্য।
মন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরও নারীরা আগের মতোই নিয়োগ পাচ্ছেন। ৪০তম বিসিএস থেকেই কিন্তু নারীদের কোনো কোটা নেই।
প্রশাসনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের ৫৮ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী রয়েছেন জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্মসচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপ-সচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব রয়েছেন ৬৫৮ জন।
তিনি আরও বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে নারী জেলা প্রশাসক রয়েছেন ৭ জন, নারী ইউএনও ১৫১ জন, নারী বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন একজন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়েছেন ৮৮ জন।
ক্যাডার সার্ভিস ছাড়াও সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী।