ফ্রান্সে বামপন্থি-জোট সরকার গঠন করতে চেয়েছিল। খারিজ করলেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চায় বামেরা।
ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম না জানালেও মাক্রোঁ বলেছেন, তিনি বামপন্থি জোটকে সরকার গঠন করতে ডাকবেন না।
মাক্রোঁর যুক্তি, বামপন্থি সরকার স্থায়ী হবে না। বামপন্থিদের এই জোটে আছে লেফট ফ্রান্স আনবাউন্ড(এলএফআই), সোস্যালিস্ট, কমিউনিস্ট ও গ্রিনরা। এই জোটই গত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বামপন্থিরা পেয়েছিল ১৯০টি আসন, মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোট পায় ১৬০টি আসন। দক্ষিণপন্থিরা ১৪০টি আসন।
গ্রিন পার্টি মাক্রোঁর সমালোচনা করে বলেছে, তিনি ভোটের ফলাফলকে উপেক্ষা করছেন। এলএফআই বলেছে, তারা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
বাম জোট দাবি করছে, তাদের সরকার গঠনের অধিকার আছে। কিন্তু মাক্রোঁর জোট এবং ডানপন্থিরা তাদের আটকাতে চাইছে। বামেরা সরকার গঠন করলে তারা একজোট হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকারের পতন ঘটাবে।
মাক্রোঁ বলেছেন, তিনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিতে চান না, যিনি পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের মোকাবিলা করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, ”আমার দায়িত্ব হলো, দেশে যেন অচলাবস্থা তৈরি না হয় বা দেশ যেন দুর্বল হয়ে না পড়ে।” তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলেছেন, তারা যেন আরো দায়িত্বশীল হন এবং পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করেন।
এলএফআই-এর জাতীয় কোঅর্ডিনেটর ম্যানুয়েল বম্পার্ড বলেছেন, ”মাক্রোঁর কথা মেনে নেয়া যায় না। তিনি অগণতান্ত্রিক কথা বলছেন।”
এলএফআই জানিয়েছে, তারা মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলবে, মানুষই যেন এর উপযুক্ত জবাব দেয়। তাছাড়া প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়েও রাজনীতিকদের ভাবতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ফ্যাবিয়েন রউসেল বলেছেন, ”নতুন করে আর আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। বরং এখন মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার সময় এসেছে।”
গ্রিন পার্টির নেতারা বলেছেন, মাক্রোঁ বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন। তিনি স্থায়িত্ব চান না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে মাক্রোঁকে সরাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী মাক্রোঁ কাকে বেছে নেবেন তা এখন দেখার। তবে তিনি? যাকেই বাছুন, তিনি পার্লামেন্টে কী করে সমর্থন জোগাড় করবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকট কাটার আশু কোনও সম্ভাবনা নেই।
সোর্সঃডিডব্লিউ