বাইসাইকেল বা দুই চাকার সাইকেল নিঃসন্দেহে অভিনব এক আবিষ্কার। দ্রুতগতির অনেক যান আবিষ্কারের কারণে একটা সময় ভাবা হচ্ছিল এর চাহিদা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তবে যানবাহনটি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এখন উন্নত অনেক শহরেও সাইকেলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
রোববার ছিল বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। প্রাচীন এই দ্বিচক্রযান নিয়ে মজার কিছু তথ্য জেনে রাখতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাইসাইকেল নিয়ে কিছু তথ্য-
* ১৮১৭ সালে কার্ল ফন ডায়েস নামের জার্মান এক অভিজাত ব্যক্তি ঘোড়া ছাড়া একটি ক্যারিজ বা বগি উদ্ভাবন করেন। দুই চাকার, প্যাডেল ছাড়া যানটি চালাতে হতো মাটিতে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে। ড্রাইসাইন নামে পরিচিত বেশ দ্রুতগতির এই দ্বিচক্রযান আধুনিক বাইসাইকেলের জন্মে বড় ভূমিকা রাখে।
* হাই হুইল বা উঁচু চাকার বাইসাইকেল ১৮৭০-এর দশকে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর বাইসাইকেল নামটি পরিচিতি পায় ১৮৬০-এর দশকে।
* প্রথম উড়োজাহাজ উদ্ভাবন করা দুই ভাই অলিভার রাইট ও উইলবার রাইটের যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ডেটনে বাইসাইকেল মেরামতের একটি দোকান ছিল। সেখানে নিজেরা বাইসাইকেল তৈরিও করেন। এই ওয়ার্কশপেই ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লাইয়ার নামের উড়োজাহাজটি প্রস্তুত করেন তারা।
* ২৫ বছরের যুবক ফ্রেড এ বির্চমোর ১৯৩৫ সালে বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করেন। এশিয়া, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এই ভ্রমণে মোট ৪০ হাজার মাইল পাড়ি দেন তিনি। এর মধ্যে বাইসাইকেলে চেপে অতিক্রম করেন ২৫ হাজার মাইল, বাকিটা নৌকায়।
* চীনে প্রথম বাইসাইকেল আসে উনিশ শতকের শেষ দিকে। তারপর থেকে দেশটিতে এর জনপ্রিয়তা বাড়তেই থাকে। বর্তমানে চীনজুড়ে চলছে ৫০ কোটি বাইসাইকেল।
* নেদারল্যান্ডসে যাতায়াতের ৩০ শতাংশই হয় বাইসাইকেলে। দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক প্রতি আটজনের মধ্যে সাতজনেরই আছে বাইসাইকেল।
* প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নতুন ১০ কোটি বাইসাইকেল তৈরি হয়।
* গত ৩০ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বাইসাইকেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্র ডেলিভারি দেওয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যানজটের মধ্যে কম সময় লাগা এবং অর্থ সাশ্রয়ী হওয়া এর জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ।
* দ্য ট্যুর দে ফ্রান্স বিশ্বের বিখ্যাত বাইসাইকেল রেসগুলোর একটি। ১৯০৩ সালে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা।
* বাইসাইকেল মোটো ক্রসকে (বিএমএক্স) রোমাঞ্চকর একটি বাইসাইকেল রেস বলতে পারেন। দুর্গম, কঠিন পথ পেরোতে হয় এই রেসে। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক গেমসে প্রতিযোগিতার তালিকায় ছিল এটি।