মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ায় বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার ও বিনিয়োগ আসতে পারে বলে মনে করছেন বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের প্রধান কান তেরজিওগ্লো৷
তিনি বলেন, ‘‘আমি খুশি যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এমন একজন হয়েছেন, যিনি আমাদের খাত সম্পর্কে খুব ভালোভাবে পরিচিত৷ তিনি বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কী চান সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত৷”
ইউনূসের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম ও নরওয়ের টেলিনর গ্রুপ যৌথভাবে গ্রামীণফোনের মালিক৷
প্রযুক্তি নীতি ও মানবাধিকার বিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশীদ দিয়াও মনে করছেন অত্যন্ত জটিল, প্রতিযোগিতামূলক ও নিয়ন্ত্রিত টেলিকম খাতে সংস্কার আনতে ইউনূসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে৷
তিনি বলেন, ব্যাংকিং ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং আর্থিকখাতের সংস্কারের দিকে সরকারকে আগে মনোযোগ দিতে হবে৷
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) গত মে মাসে জানায়, বাংলদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন৷ এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ৷
এছাড়া বাংলাদেশে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন বলে জানিয়েছে জিএসএমএ৷
সোর্সঃ ডি ডব্লিউ