প্রকাশ্যে শান্তি প্রস্তাব তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েল ও হামাসের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের উদ্যোগও নিচ্ছে তার প্রশাসন৷ তবে এখনো বাধা রয়ে গেছে৷
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
সন্ত্রাসবাদী হামাস গোষ্ঠীর হাতে অবশিষ্ট ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অস্ত্রবিরতির সেই প্রস্তাব অবশ্য এখনো সব বাধা দূর করতে পারেনি৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় চরম জাতীয়তাবাদী দুই মন্ত্রী জোট সরকার ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷ নেতানিয়াহু নিজেও বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা না পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে৷
ওয়াশিংটন সফরে এসে তিনি বিষয়টি কীভাবে সামলাবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ উল্লেখ্য, জি-সেভেন গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷
গাজার শান্তি প্রস্তাবের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আশায় বাইডেন প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে৷ জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, একাধিক নেতা ও সরকার ইতোমধ্যে সেই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন৷ তাই সেই বোঝাপড়া কার্যকর করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
মার্কিন দূত বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এতদিন যে সব পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল, শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে সে সব অন্তর্গত রয়েছে৷
বাইডেন প্রশাসন সরাসরি ইসরায়েল ও হামাসের উপরেও বোঝাপড়া মেনে নেওয়ার জন্য জোরালো চাপ সৃষ্টি করছে৷ অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক দলের সব ভোটারদের সমর্থন আদায় করতেও বাইডেন আগ্রহী৷
গাজা সংকটকে ঘিরে অ্যামেরিকায় যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, বাইডেনের পক্ষে তা আর উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সচেতনভাবেই শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভেন বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে শান্তি প্রস্তাবের প্রতি পুরোপুরি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ বিশেষ করে হামাসের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এমন আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন৷
বাইডেন নিজে সোমবার কাতারের নেতা শেখ তামিম বিন হামাদ আল তানির সঙ্গে কথা বলেছেন৷ হামাসের সঙ্গে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সংলাপ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সালিভেন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকিফ চায়াতাইয়ের সঙ্গেও সে বিষয়ে কথা বলেন৷
সোর্সঃডিডব্লিউ