কুরবানি দিতে গিয়ে ঢাকাতেই ছুরিকাঘাতে ১৪০ জন আহত হয়েছেন।তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি হয়েছেন, আর বাকিরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১০০ জন মানুষ কুরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে।
ঢামেকের জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. আমান বলেন, কুরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আহত হয়ে ১৩৯ জন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। সবাইকে সেলাইয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগ রোগীই কাটাছেঁড়ার।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, কুরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে ১৪০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে কুরবানির পশুর হাড়-মাংস আলাদা করার সময় ছুরি ও চাপাতির আঘাতে বিভিন্ন বয়সি ১০০ মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার ও বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকের তথ্য থেকে এ জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৮০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিক গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের বেশিরভাগেরই হাত-পায়ের আঙুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অনির্বাণ মোদক জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।তারা কুরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন।