নবম আইসিসি টি২০ ক্রিকেট বিশ্ব কাপে নিউ ইয়র্কে ভারত চীর প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৬ রানে পরাজিত করেছে, যে বিজয়ে ভারতের নায়ক ডান-হাতি পেস বোলার জাসপ্রিত বুম্রাহ।
বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হয়। টসে জিতে পাকিস্তান প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং শীঘ্রই তাদের পেস বোলাররা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
পাকিস্তানের রউফ হ্যারিস (৩-২১), নাসিম শাহ (৩-২১) আর মোহাম্মাদ আমির (২-২৩) ভারতের ‘রান মেশিন’ আটকে দেন। শাহিন শাহ আফ্রিদির (১-২৯) বলে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হবার পর ঋষভ পান্ত (৪২ রান) আর আক্সার প্যাটেল (২০) ছাড়া কেউ পাকিস্তানি পেস আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে পারেন নি।
এক ওভার বাকি থাকতেই ভারতের সবাই ১১৯ রানে আউট হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভাল হলেও সেটা তারা ধরে রাখতে পারেনি, যার বড় কারণ ছিল জাস্প্রিত বুম্রাহ যিনি মোহাম্মাদ রিজওয়ান (৩১) এবং বাবর আজমের (১৩) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি নেন।
বুম্রাহ’র ১৪ রানে তিন উইকেট ভারতের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে, যে কারণে পাকিস্তনের ইনিংস ৭ উইকেটে ১১৩ রানে শেষ হয়।
ভারতের অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও, বল দিয়ে তিনি ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের মধ্য ইনিংসের গতি আটকে দেন।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং-এর জন্য সুবিধাজনক না হলেও, মাঠে আসা রেকর্ড-সংখ্যক ৩৪,০২৮ জন দর্শক একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখতে পান, যেখানে কার পাল্লা কখন ভারি তা বোঝা মুশকিল ছিল।
বুম্রাহ প্রথমে পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবর আজমের উইকেট দখল করেন। পনেরতম ওভারে পাকিস্তান যখন ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তুলেছে এবং দৃশ্যত চালকের আসনে, তখন বুম্রাহ মোড় ঘুরিয়ে দেন রিজওয়ানের উইকেট নিয়ে।
এরপর, ১৯তম ওভারে যখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য ২১ রান দরকার, তখন বুম্রাহ মাত্র তিন রান দেন এবং ওভারের শেষ বলে ইফতিখার আহমেদের উইকেট দখল করেন।
পাকিস্তানের তখন শেষ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন, যেটা এই পিচে ছিল কঠিন লক্ষ্যমাত্রা। লক্ষ্য আরও কঠিন হয়ে যায় যখন আরশদদিপ সিং ওভারের প্রথম বল দিয়ে ইমাদ ওয়াসিমকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন।
নাসিম শাহ সাহস নিয়ে খেলে যান এবং ওভারের চতুর্থ আর পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু ভারত মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচে নতুন কোন নাটকের রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং এই বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় বিজয় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের জন্য এই পরাজয়ের মানে হল তারা দুটা ম্যাচের পরেও কোন পয়েন্ট পায় নি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম খেলায় হারার ফলে, সুপার ৮ পর্বে পৌঁছানোর জন্য তাদের এখন কানাডা আর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাল মত জিততে হবে।
সোর্সঃডিডব্লিউ