ঝিনাইদহ-৪ এর সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সাংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আনার কলকাতায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ হলেও তার মরদেহের এখনো কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ভারত বা বাংলাদেশ সরকার আনারের মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি।
এ অবস্থায় ঝিনাইদহ-৪ আসন শূন্য ঘোষণার ব্যাপারে অপেক্ষা করছে সচিবালয়। এমপিকে হত্যার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করবে সংসদ সচিবালয়।
আজ রোববার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি ব্যতিক্রম। অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এজন্য আমরা আরও অপেক্ষা করতে চাই।
‘মৃত্যু, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে সংসদের কোন আসন শূন্য হলে সংসদ সচিবালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করে ওই আসনটি (মৃত্যুর তারিখ থেকে) শূন্য ঘোষণা করা হয়।পরে গেজেটের কপি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। নির্বাচন কমিশন ওই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করে।
অতীতে যেসব সংসদ সদস্য মারা গেছেন বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের দাফন বা সৎকার ও করা হয়েছে।কিন্তু আনারের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাকে কবে হত্যা করা হয়েছে সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অবশ্য আনারের হত্যাকাণ্ডের খরব প্রকাশের দিন (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।স্পিকার আজ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এ ঘটনা খুবই ব্যতিক্রমী। কার্যপ্রণালী বিধিতেও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
এটাতো অনুমান নির্ভর।’হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রসঙ্গ টেনে স্পিকার বলেন, তাদের হত্যার বিষয়টি দৃশ্যমান ছিল। তাদের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং জানাজা হয়েছে।
সেই হিসাবে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।স্পিকার আরও বলেন, এখানে সমস্যা হচ্ছে তার দেহ পাওয়া যায়নি। তাই এখনো আমরা অপেক্ষা করছি। আমাদেরকে কোনো একটা নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানতে হবে। যেখানে প্রমাণ হবে উনি মারা গেছেন। না হলে আমরা কীভাবে বুঝব উনি মারা গেছেন?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।আনারের আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে, আলোচনা চলছে।
সবকিছু নির্ভর করছে উনি মারা গেছেন এ তথ্যটা সংসদের কাছে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে আসতে হবে।আগামী ৫ জুন সংসদ অধিবেশনের আগে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়টি আলোচনা করবেন বলেও স্পিকার জানান।